আরজি কর মেডিক্যালে বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগে বিস্ফোরক দাবি করলেন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
আরও পড়ুন - 'আরজি করের নতুন মেশিনগুলো সব নিজের নার্সিংহোমে লাগিয়েছে'
পড়তে থাকুন - কেন সমর্থন করলেন ‘টুকলি করা’ বিল? শুভেন্দু বললেন, জনমতের চাপে…
শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যালে মৃত্যু হয় কোন্ননগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তোলে পরিবার। তাদের দাবি, আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অন্তত ২ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন যুবক। তার পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। ওদিকে এই মৃত্যুর কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎকদের কর্মবিরতিকে দায়ী করেন। এমনকী এড়ানো যায় এমন গাফিলতি খুনের সামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওদিকে দুর্ঘটনার পর যে হাসপাতালে বিক্রমকে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার প্রণবেশ হালদার বলেন, আমাদের রেফারাল ইউনিট হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আমাদের হাসপাতাল থেকে সমস্ত রোগীকে সেখানেই পাঠানো হয়। যে রোগীর কথা বলা হচ্ছে তাঁকেও সেখানেই পাঠানো হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার কেন তাঁকে আরজি করে নিয়ে গেল জানি না। আর সেই অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার আমাদের হাসপাতালেরও নন। তিনি কোন্নগর পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার। তার প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন - ভরা বাজারে এসে ছাত্রীকে প্রমাণ করতে হল শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে সে
কেন রোগীকে কলকাতায় পাঠাতে হয়েছে তারও ব্যখ্যা দিয়েছেন ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার। তিনি বলেন, ‘ওই যুবকের ধমনীতে আঘাত ছিল। সেই বিভাগের শল্যচিকিৎসক আমাদের হাসপাতালে নেই। সেটা সুপার সুপার স্পেশ্যালিটি। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হলেও এখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, কিডনি বিশেষজ্ঞ, স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই।