একাকী গৃহবধূর জীবনে ধরা দিয়েছিল প্রতিবেশী যুবক। কর্মসূত্রে স্বামী বাইরে থাকায় একাকী জীবন বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। আর সেখানেই প্রদীপের একফালি শিখা হয়ে ধরা দিয়েছিল যুবক। তারপর তারা কাছাকাছি এসেছিল। দিন–রাত কেটে যাচ্ছিল প্রেমে। যৌনতাও সেখানে মেলে ধরেছিল হাতছানি। কিন্তু এই সম্পর্ক তো বিবাহবহির্ভূত। এমনই অভিযোগ তুলে যুবক–যুবতীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হল। লাঠি, ঝাঁটা, জুতো কিছুই বাদ পড়ল না। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার নীতি পুলিশের দাপট সকলকে চমকে দিয়েছে। তারপর ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
ঠিক কী ঘটেছে চন্দ্রকোণায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দ্রকোণার মনোহরপুরের বাসিন্দা যুবকের সঙ্গে কুলদহ গ্রামের গৃহবধূর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। বাড়িতে আসা, একসঙ্গে খাওয়া, ঘুরতে যাওয়া থেকে নিশিযাপন একসঙ্গেই চলছিল। শুক্রবার রাতে গৃহবধূর বাড়িতে যুবক প্রবেশ করার কিছু পরেই সেখানে হাজির হয় নীতি পুলিশের দল। দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। একে অপরের বাহুডোরে আষ্টেপিষ্টে ছিল তারা। তখনই বসে সালিশি সভা। মোড়লদের নির্দেশে দু’জনকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয় দু’জনকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো করা হয়। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তা পুলিশের নজরে আসতেই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের উদ্ধার করে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন দু’জনে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই নীতি–পুলিশদের খুঁজছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সরগরম হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার। স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত বলে সন্দেহ করে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেছিল স্বামী। সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ঘটনা গোটা বাংলায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কোনও সম্পর্কে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সেখানে এই ঘটনা বিরল বলেই মনে করা হচ্ছে। নীতিপুলিশির ঘটনায় চন্দ্রকোণায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।