ভাইয়ের সঙ্গে নিজের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। এমনকী দুই জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেও নেন। এরপরই প্রায় আড়াই দশকের সম্পর্ক ভেঙে স্ত্রীকে নিজের ভাইয়ের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর এক নম্বর ওয়ার্ডে বাগচির বাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রৌঢ় দম্পতির ১৯ বছর বয়সি এক পুত্র সন্তান আছে।
প্রৌঢ় এবং স্ত্রীর মধ্যে সেরকম কোনও অশান্তি ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তবে পেশায় ঢালাই মিস্ত্রি স্বামী নাকি কাজের সূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকতেন। এই আবহে অনেকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী। এমনকি স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তার। এই সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ ছিল স্বামীর মনে। পরে হাতেনাতে দুই জনকে ধরে ফেলেন। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে দেন সেই প্রৌঢ়।
জানা গিয়েছে, কোনও কারণে ঝামেলার যেরে পৃথক থাকছিলেন স্বামী এবং স্ত্রী। সেই সুযোগে শুক্রবার রাতে বউদির ঘরে আসে দেওর। সেই সময় ঘরের বাইরে থেকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় স্ত্রী এবং ভাইকে দেখে ফেলেন স্বামী। দরজা বাইরে থেকে আটকে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। রাতেই ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে দেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রৌঢ় ঢালাই মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, ‘কয়েকদিন আগে খুব সামান্য ঝামেলার কারণে ভাই আমার মাথায় মেরেছিল। এখন বুঝতে পারছি, আমাকে খুন করার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। আমি ওদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াব না।’