শিকল দিয়ে বেঁধে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে নির্যাতিত ওই ব্যক্তির পা ভেঙে গিয়েছে। এমনকী, আহত ওই ব্যক্তির চিকিৎসা করানোর কোনও ব্যবস্থাই করেনি তার বাড়ির লোক বলে অভিযোগ। যদিও স্বামীর উপর অত্যাচারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্ত্রী ও তাদের মেয়ে।
অবশেষে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সোনারপুর থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ কর্মীরা দেখেন যে, ব্যক্তির হাতে পায়ে শিকল বাঁধা রয়েছে। শিকল খুলে আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। তবে কি কারণে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হল, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
বর্বর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সোনারপুরের বাদামতলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ পাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে থাকতেন বিশ্বনাথবাবু। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই শিকল দিয়ে ওই ব্যক্তিকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। ঘটনার জেরে বিশ্বনাথবাবুর পা ভেঙে যায়। ঘরের মধ্যেই পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলে ওই ব্যক্তি। শিকলে বাঁধা অবস্থায় কোথাও যেতে পারছিলেন না-তিনি। অভিযোগ, আহত বিশ্বনাথ বাবুর চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই করেননি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে।
বিষয়টি জানতে পারেন প্রতিবেশীরা। তারাই গিয়ে বিশ্বনাথবাবুকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর সোনারপুর থানার খবর দেওয়া হলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারপর ওই ব্যক্তির শিকল খুলে মুক্ত করা হয় তাঁকে। অবশ্য অভিযুক্ত মা-মেয়ের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পাল্টা বিশ্বনাথ বাবুর বিরুদ্ধেই তাদের মারধরের অভিযোগ তোলেন তাঁর স্ত্রী। অবশ্য প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্তে নামা হয়েছে। দ্রুত আসল সত্য বেরিয়ে আসলে, শাস্তি পাবেন অভিযুক্তরা।