ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই কলকাতার নারকেলডাঙায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিকে সূত্রের খবর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে অভিজিৎ একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। সেখানে তিনি খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এবার সেই ফেসবুক লাইভের ভিডিওকেই মৃত্যুকালীন বয়ান হিসাবে গ্রহণ করেছে সিবিআই। অভিজিতের ফোন ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাবে সিবিআই, মূলত ভিডিও ও কল রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করার জন্য। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট ছয় সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টের কাছে জানানোর কথা রয়েছে। এদিকে সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের কাছ থেকে অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ রিপোর্ট ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টও সংগ্রহ করেছে।
সোমবার অভিজিতের ফোনটি সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহের কাছে জমা দিয়েছিলেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তাঁর কথায়, ২রা মে দুপুর থেকেই বাড়ির সামনে বহিরাগতরা ঘোরাফেরা করছিল, খুনের হুমকি দিচ্ছিল। নারকেলডাঙা থানার ওসিকে ফোন করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছিল। লালবাজার কন্ট্রোল রুমেও ফোন করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ সহায়তা করেনি। উলটে ফোন করলে ওরা বিরক্ত হচ্ছিলেন। সব কল রেকর্ডিং সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মদতে এই হামলা চালানো হয়েছিল সেটাও সিবিআইকে জানানো হয়েছে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। জানিয়েছেন অভিজিতের দাদা।