'যারা প্রচুর পড়াশোনা করে অধিক রোজগারের জন্য চাকরবৃত্তিকেই জীবনের পরমার্থ মনে করে তার চাইতে যে লোকটি স্বাধীনভাবে চপ মুড়ি, তেলে ভাজা বিক্রি করে সামান্য রোজগার করে সৎভাবে জীবনযাপন করে তার সম্মান অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।' লিখেছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। আর তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্টকে কেন্দ্র করে কার্যত সমালোচনার ঝড় নেটপাড়ায়।
অনেকে তাঁকে তীব্র সমালোচনায় বিঁধতে শুরু করেছেন। একজন লিখেছেন, আপনি নিজেও চোরের দলে নাম লিখিয়ে মহাচোর হয়ে উঠেছেন। আপনার বই কিনে আর পড়ব না। ওই কাগজে ঠোঙা বানিয়ে চপ বেচব। অপরজন লিখেছেন, আপনার যদি মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে দেখা না হয়ে সরাসরি মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা হত তাহলে আপনিও কি ঘুগনি, মুড়ি, চপের দোকান খুলতেন!
এদিকে ওই পোস্টে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে এটা আঁচ করেই কি ফের পোস্ট করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী? সেখানে তিনি লিখেছেন, 'সব বাবা মা চান তাঁদের সন্তান শিক্ষিত হোক…১০০জন লেখাপড়া জানা লোকের মধ্যে মাত্র পাঁচ-দশ জন চাকরি পেতে পারে। বাকিরা কী করবে? এবার তারা যদি বলে আমি লেখাপড়া শিখে টোটো কেন চালাব? চপের দোকান কেন দেব? আপনার জবাব কী হবে?'
এই পোস্ট করতেই কার্যত নিন্দার ঝড়। একজন লিখেছেন, মাসে ১.১৩ লাখ টাকা পেলে এসব বলাই যায়। অপরজন লিখেছেন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করে কী উত্তর পেয়েছিলেন? অপরজন লিখেছেন, বাকিরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রতকে নকল করবে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী তেলেভাজা, ঘুগনি বিক্রির ক্ষেত্রে নয়া দিশা দেখিয়েছিলেন।