হঠাৎ নেটপাড়ায় খবর ছড়িয়েছে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় পদ্মাসন ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে আসছেন। একুশের নির্বাচনের আগে দলবদল পর্বে আপাতত সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। সেখানে বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নাকি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সত্যতা যাচাইয়ে নামতে বাধ্য হলেন স্বয়ং বাবুল। পোস্টটা সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’ এবং তা তৃণমূলের কাজ বলে অভিযোগ তাঁর। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্ট করেছেন নিজের অবস্থানও। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই শোরগোল পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। যা বাবুলের কাছে বিব্রতকর বলে মনে করা হচ্ছে।
নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে দেখা যাচ্ছে, জনপ্রিয় বাংলা সংবাদমাধ্যমে টেলিকাস্টের স্ক্রিনশটে রয়েছে। এমনকী ব্রেকিং নিউজে দাবি করা হয়েছে বিজেপি সাংসদের তৃণমূলে যোগদানে কথা। যেখানে লেখা ‘তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।’ এই খবরে চাঞ্চল্য ছডিয়ে পড়ে। যেখানে দলগুলিতে ভাঙাগড়ার খেলা চলছে, সেখানে এমন ঘটনা ঘটতেও পারে। এই ভাবনায় জোর চর্চাও শুরু হয়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে।
উল্লেখ্য, জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপি যোগদানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নতুন সমীকরণ ধরে নেওয়া হয়। হয়ত জিতেন্দ্র বিজেপিতে যোগ দিলে বাবুল দল ছাড়তে পারেন। জিতেন্দ্র দল ছাড়তেই বাবুল সুপ্রিয় স্পষ্ট নিজের মতামত জানিয়ে বলেছিলেন, জিতেন্দ্রকে বিজেপিতে নেওয়া হলে তিনি বিরোধিতা করবেন। দলকে বোঝাবেন, তাঁকে না নেওয়ার জন্য। তেমন পরিস্থিতি ঘটেছে বলেই বাবুলের দলত্যাগ বলে মনে করতে শুরু করেন রাজনৈতিক মহল। পরে অবশ্য তা ভুল প্রমাণিত হয়।
এই পোস্ট ভাইরাল হতেই বাবুল সুপ্রিয়র কাছেও দিনভর ফোন আসতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ভাইরাল হওয়া ওই ভুয়ো পোস্ট নিয়ে জবাব দিতে আসরে নামেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ নিজেই। নিজের ফেসবুকে ওয়ালে লিখে জানান, ‘আর শুনে রাখ, কঠিন শব্দে বলার জন্য মার্জনা কর, কিন্তু সত্যি হল #TMC দলটাকে আমি মনেপ্রাণে ঘৃণা করি !! রাজনীতি ছেড়ে দেব, কিন্তু টিভিতে এই হেডিং কখনও হতে দেবনা !! ২০২১-এ বাংলার মানুষের সাহায্যে এই #TMছিঃ সরকারকে) দূর আরব সাগরে (যাতে আর বাংলার ধার কাছে ফিরে না আসতে পারে) না ফেলা অবধি খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারব না !!’ কিন্তু এই পোস্টে তাঁর সুস্থ শরীর ব্যস্ত হয়ে ওঠে বলে মনে করা হচ্ছে।