নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরির জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। এই ঘটনায় নদিয়ার কল্যাণী থেকে ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীর গয়েশপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে বিশ্বজিৎ মজুমদার সগুনার বাসিন্দা। যোগেশ প্রামাণিক ও প্রত্যয় নাথ গেদের বাসিন্দা। এছাড়াও বিপ্লব সরকার ও গৌতম সরকার বেথুয়াডহরির বাসিন্দা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে নকল কার্ড তৈরি করার বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় ভুয়ো সরকারি নথিপত্র তৈরি করার একটি চক্র সক্রিয় ছিল। আরও অভিযোগ, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড বানানোর নামে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলছিল অভিযুক্তরা। ওই চক্রের পান্ডারা কারও কাছ থেকে আদায় করছিল দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কিন্তু যাদের আধার কার্ড কিংবা প্যান কার্ড তৈরি করা হচ্ছিল, তাঁরা ওই কার্ডগুলো দিয়ে কোথাও লিঙ্ক করতে পারছিলেন না। এতেই অভিযুক্তদের উপর সন্দেহ হয়। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা কল্যাণী থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তারপরেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের ধরা হয়। অভিযুক্তরা আর কার কার কাছ থেকে কত টাকা তুলেছে, কিংবা কীভাবে তারা এই জালিয়াতি চক্র চালাচ্ছিল, তাদের সঙ্গে আর কে কে জড়িয়ে রয়েছে, তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিত, তার বদলে তাঁদের হাতে কাগজের একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বলা হত যে, কয়েক মাস পর কার্ড বাড়িতে পৌঁছে যাবে। প্রতারিতদের অভিযোগ, যে কার্ড তাঁরা হাতে পাচ্ছিলেন, সেগুলো দিয়ে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডই হোক কিংবা আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ড হোক কোথাও সেগুলো লিঙ্ক করানো যাচ্ছিল না। তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিতরা।