সদ্য কলকাতা থেকে ধরা পড়েছে প্রায় ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এরপরই ধরা পড়ল বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির চক্র। এই জাল লাইসেন্স তৈরি করে তা বিক্রি করা হতো। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। তবে এই একজনের কাজ এটা নয়। নেপথ্যে রয়েছে একাধিক মাথা। তাই ধৃত ইসমাইলকে জেরা করে মাথার নাগাল পেতে চায় সিআইডি।
এই ইসমাইলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে জাল লাইসেন্সের কাগজপত্র। আর জাল আর্মস লাইসেন্স দিয়েই অস্ত্র কিনেছিল সে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। কারণ জেরা করলেই নাগাল পাওয়া যাবে মাথার। এই ঘটনার পিছনে অবশ্যই বড় চক্র কাজ করছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে একটি খবর পেয়ে তদন্তে নেমেই বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির চক্রের হদিশ মেলে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি তখন তদন্ত শুরু হয়। সেখান থেকেই এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকেই নাম বেরিয়ে আসে ইসমাইলের। অবশেষে তাকেও গ্রেফতার করা গিয়েছে। আগেও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখনই বোঝা যায় জাল অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
ঠিক কী জানতে পারে সিআইডি? ওই যুবকের কাছ থেকেই মেলে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বন্দুকের জাল লাইসেন্স থেকেই মোটা টাকা রোজগার হতো। মেমারি থানা এলাকার হরিণডাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয় সফিক মোল্লাকে। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়েই জুলফিকার শেখ, সাবির মণ্ডল, ইমানুল মণ্ডল, হাফিজুল শেখ, বিমান মণ্ডল নামে পাঁচজন নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের খবর, এই সফিক তৈরি করেছিল জাল রবার স্ট্যাম্প। পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের জাল রবার স্ট্যাম্প সে তৈরি করেছিল। সেগুলি উদ্ধারও হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের পাঁচটি বন্দুক ও তাঁদের লাইসেন্সগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরা বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করত। তাদের সঙ্গেই সফিকের যোগাযোগ বড় চক্র তৈরি হয়। তবে এখনও মাথা অধরা বলেই মনে করছেন সিআইডি আধিকারিকরা।