ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব শিলিগুড়িতেও বিছিয়ে ফেলেছিলেন প্রতারণার জাল। অভিযোগ এমনটাই। এমনকী শিলিগুড়ির বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তাঁর রীতিমতো ওঠাবসা ছিল। একেবারে নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে নিয়ে হিলকার্ট রোডের পাশে সরকারি লজ মৈনাকে এসে উঠতেন তিনি। এরপরই চলত নানা মহলের সঙ্গে তাঁর মিটিং। সেই সময় পুলিশের কর্মী, আধিকারিকরাও তাকে নাকি রীতিমতো সমীহ করতেন। চা বাগানের, মালিক, ঠিকাদার, শিলিগুড়ির প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তাঁর ওঠাবসা লেগেই থাকত। অভিযোগ সেখান থেকেও দেদারে টাকা তোলা হত। তবে শুধু তাই নয়, শাসকদলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটি তৈরি করারও টোপ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নানা প্রলোভন তিনি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।শিলিগুড়ির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক যুবকের মাধ্যমে দেবাঞ্জন তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। গান লেখার সূত্রে ধরে ওই যুবকের সঙ্গে দেবাঞ্জনের পরিচয়। অভিযোগ কালিম্পং, ডুয়ার্সেও প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন দেবাঞ্জন।
সূত্রেরক খবর, ২০১৭ সাল নাগাদ তিনি শিলিগুড়িতে ঘনঘন যাতায়াত করতেন। শিলিগুড়ির এক যুবকের মাধ্যমে তৃণমূলের লিগাল সেলের এক নেতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁকেও তিনি উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের কোর কমিটিতে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এভাবে তিনি শাসকদলের অন্দরেও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী তিনি উত্তরবঙ্গে এলে শাসকদলের একাধিক স্থানীয় নেতা তাঁকে রীতিমতো সমীহ করতেন। আর সেই সুযোগটাই তিনি কার্যত কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন বলে অভিযোগ।
এমনকী সরকারের নির্দেশেই তিনি এসেছেন বলেও শাসকদলের নেতাদের বলতেন। পাশাপাশি জিটিএর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের লিগাল সেলের ওই নেতাকেও তিনি এব্যাপারে জানিয়েছিলেন। এদিকে লিগাল সেলের ওই নেতা ইতিমধ্যেই সিটের কাছে গোটা বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির রাজ্য নেতা রথীন বসুর দাবি, সব জেনে তৃণমূল এসব করত। তৃণমূল নেতারাও টাকার ভাগ পেতেন। আইএএস পরিচয় দিয়ে মৈনাকে থাকল অথচ কেউ যাচাই করে দেখল না? এটা কী সম্ভব?
.