ভুয়ো আইপিএস অফিসার রাজর্ষি ভট্টাচার্য নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ –এর অফিসার বলে পরিচয় দিতেন। সম্প্রতি ধৃতের বেলঘরিয়ার বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে বাড়ি থেকে প্রচুর গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অশোক স্তম্ভ লাগানো খাঁকি উর্দি ও ব্লেজারও পাওয়া গিয়েছে। এর আগে কসবা কাণ্ড সামনে আসার পর ভুয়ো আইএএস অফিসার পরিচয়ে দেবাঞ্জন দেবের নাম প্রকাশ্যে চলে আসে। পাশাপাশি ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে পুলিশ কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লাখ টাকা চেয়ে বসেন রাজর্ষি। এরপর ওই ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সোমবার রাতে ইএম বাইপাস থেকে পুলিশ রাজর্ষিকে গ্রেফতার করে। সেইসঙ্গে তাঁর গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়। এরপরই রাজর্ষির ভুয়ো আইপিএস অফিসার পরিচয় সামনে আসে। গতকাল রাতে বেলঘরিয়ায় রাজর্ষির বিলাসবহুল বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি সেভেন এমএম পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে যে আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তার লাইসেন্সও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই লাইসেন্সটি আসল কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এলাকার লোকেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকার লোকেদের ভয় দেখাতেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজর্ষি নিজেকে আইপিএস অফিসারই নয়, বিভিন্ন পেন্টিংও বিক্রি করতেন। প্রতিবেশিরা রাজর্ষিকে আইপিএস অফিসার হিসাবেই জানতেন। অনেক লোকজনের আনাগোনা লেগেই থাকত বলে প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে রাজর্ষিকে জেরা করা শুরু করেছে। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি উত্তর কলকাতা রাইফেল ক্লাবের সদস্য। তবে তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।