যুবক যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে সকালে ৮ জনকে গ্রেফতার করার পর বিকেলে তাদের ভুয়ো অফিসের ঠিকানা খুঁজে বার করল পুলিশ। মঙ্গলবার তারকেশ্বরের বৈদ্যবাটী রোডের পাশে ‘রোড সেফটি অর্গানাইজেশন’ নামে ভুয়ো ওই অফিস সিল করে দেয় পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ২ জনকে।
জাতীয় সড়কে নিরাপত্তায় যোগদান করানোর নামে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ - ৬০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানে নানা রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। তবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে যারা আসতেন তারা কেউ স্থানীয় নয়। সোমবার সন্ধ্যায় অফিসের ভিতরে গোলমাল হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে পৌঁছে তালা ভেঙে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সঙ্গে সিল করে দেওয়া হয় ওই অফিস। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয় কুমার মালিক নামে এক ব্যক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে নিজেকে দাবি করতেন। কো চেয়ারম্যান হিসাবে দাবি করতেন মিহির দাস নামে এক ব্যক্তি।
প্রতারিতদের দাবি, মাসে ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সংস্থাটি। সঙ্গে প্রশিক্ষণের নাম করে বিভিন্ন সময় টাকা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পালসিট টোল প্লাজার কাছ থেকে এই চক্রের ৮ জনকে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিশ। রাজ্যপালের শংসাপত্র জাল করে যুবকদের প্রতারিত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। যুবকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে সেখানে ডাকে তারা। খবর পেয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।