এবার সামনে এলো ভুয়ো পঞ্চায়েত প্রধান। আর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছেন এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। জামুড়িয়ার তপসি পঞ্চায়েতে অফিসে এই ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত অফিসের প্রধানের ব্যক্তিগত চেম্বারের চেয়ারে প্রধান সেজে ছবি তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজু মুখোপাধ্যায়। সেই ছবি তিনি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে তার অনুগামীরা জয়জয়কার করেছেন কমেন্টে। ঝড়ের গতিতে পড়েছে লাইক। মুহূর্তের মধ্যেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। আর তাতেই ধরা পড়ে যান তিনি।
এই নিয়ে বাধে চরম বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত প্রধান সুশান্ত গোপ দুপুরে যখন অফিসে ছিলেন না তখন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে ব্লক প্রশাসন। প্রধানের চেয়ারকে অবমাননা করার জন্য প্রধানকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সুশান্ত গোপ বলেন, ‘এখন কাজের খুব চাপ। আমি দুপুরে বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম। অফিসের চেয়ার তো আর বাড়িতে তুলে নিয়ে যাব না! আমার অনুপস্থিতিতে কেউ যদি সেই চেয়ারে বসে থাকেন তবে তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কারণ, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি দেখে আমায় ফোন করেছেন। উচ্চ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই গৃহীত হবে।’
পরিস্থিতি বেগতির দেখে অভিযুক্ত রাজুর দাবি, তিনি মজার ছলে ছবিটি তুলেছেন। তার বেশি কিছু নয়। এই ঘটনায় বিরোধীরা এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শিক্ষার অভাব থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা এই কাণ্ড করছেন বলে তাদের অভিযোগ। বিজেপির কটাক্ষ, ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার আর দোষ কি? সরকারি অফিস আর পার্টি অফিসের ফারাক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা জানেন না বলেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। এটাই ওদের কালচার।