ক্ষমতা দখলের মরিয়া লিপ্সায় নেমেছে বিজেপি। তাই তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু পুরো মিথ্যেটাই পড়ে গেল ধরা। কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের মিছিলের একটি ভিডিও। আর সেখানে শোনা যাচ্ছিল ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় ওঠে।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ভিডিওটি ভুয়ো। তখন সেই ঘটনার তদন্তে নামে কালনা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে দেখা যায়, এই ঘটনায় দুই বিজেপি নেতা জড়িত। তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শাসকদলকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কারসাজি করা হয়েছিল। এই স্লোগান ব্যবহার করে তৃণমূলের বদনাম করতে চেয়েছিল তারা। তবে এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালনার ১০৮ নম্বর শিবমন্দিরের সামনে থেকে তৃণমূলের একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। মিছিলটি শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায় একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায়, বিধায়কের সামনেই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুলছেন কর্মীরা। আর সঙ্গে সঙ্গে শাসকদলকে আক্রমণ করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিধায়কের সামনে এ হেন ঘটনাতেই স্পষ্ট রাজ্যের পরিস্থিতি।
তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য ও বিধায়ককে অপদস্থ করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বীরভূমে বিজেপি’র আইটি সেলের প্রাক্তন ইনচার্জ কৃশাণু সিনহা ও পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট নগর মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি অরবিন্দ রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।