বারুইপুরে চোর সন্দেহে প্রোমোটার অভীক মুখোপাধ্যায়কে পিটিয়ে মারার ঘটনায় তিন জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বারুইপুর আদালতে পেশ করার আগেই উত্তেজনা ছড়ালো থানা চত্বরে। মৃতের ক্ষুব্ধ পরিবার ধৃতদের ওপর চড়াও হয়। তাদের মারধর করার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের গাড়িতে করে সেখান থেকে চলে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশের গাড়ি পিছু ধাওয়া করেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
বারুইপুরে প্রোমোটার খুনের ঘটনায় শনিবার ভোররাতে ৩ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে একজন রয়েছে মহিলা। ধৃতদের নাম অতনু বালা, ফণী রায় ও মলিনা সর্দার। এছাড়াও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি। পুলিশের অনুমান অভিযুক্তদের ডাকেই এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে এসেছিল।
অন্যদিকে, এদিন আদালতে পেশ করার জন্য থানা থেকে বের করার পরেই ধৃতদের ওপর চড়াও হয় ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ অভিযোগ, অভীকের কাছে দামী মোবাইল, এটিএম কার্ড এবং নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার কাছ থেকে ওই সমস্ত জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি। এখন লুটপাটের জন্যই কি তাকে খুন করা হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলছেন পরিবারের সদস্যরা।
যদিও তারা প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে চক্রান্ত করে খুন বলে দাবি করে আসছেন। তাদের বক্তব্য, প্রিয়াঙ্কা সরকার সেখান থেকে বেঁচে গেল অথচ শুধুমাত্র অভীককে কেন পিটিয়ে মারা হল তা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা সরকার ঘটনায় কোনও তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ পরিবারের।