কলকাতার হাসপাতালে মারা গিয়েছিল এক কিশোর। সেই দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের লোকজন। আর মাঝ রাস্তায় নদিয়ার শান্তিপুরে উলটে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করেন। কিন্তু দেহ নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন কী করে? বাসিন্দাদের দাবি শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু বার বার ফোন করেও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। একারণেই বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
গৌতম দাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, খালাসি আর ড্রাইভার দুজনেই মদ খেয়ে ছিল। অ্য়াম্বুল্যান্সটি উলটে যায়। কোনওরকমে তাদের উদ্ধার করা হয়। এদিকে এরপর থেকে প্রায় দুঘণ্টা রাস্তার ধারে মৃত কিশোরকে কোলে নিয়ে পরিবারের লোকজন বসে থাকলেন। পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্সকে ফোন করেছে। কিন্তু কিছুতেই অ্যাম্বুল্য়ান্স আসছিল না। এই তো অবস্থা শান্তিপুরের। অপর এক বাসিন্দা বলেন, এত অসহযোগিতা জানলে আমরা নিজেরাই তাদের জন্য গাড়ির চেষ্টা করতাম।
মৃতের পরিজনরা বলেন, নিউ গড়িয়া থেকে আমরা আসছি। সেখানেই বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। আমরা নবদ্বীপ থানা এলাকায় যাব। এখানে আসার সময় গাড়িটা দুর্ঘটনায় পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাই আমাদের উদ্ধার করেন। কিন্তু দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য় কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাচ্ছে না। সেকারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার ধারে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে।