রোগী মৃত্যুকে ঘিরে করে এক প্রশিক্ষণরত নার্সকে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মারধরের পাশাপাশি নার্সের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন ওই নার্স।
আরও পড়ুন: ফের আক্রান্ত চিকিত্সক, প্রসূতির মৃত্যুতে পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর
জানা যাচ্ছে, গত ৩০ মে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে সিউড়ি সদর হাসপাতালে এক বৃদ্ধকে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ঘটনায় রোগীকে সিউড়ি সদর হাসপাতাল থেকে অন্যত্র রেফার করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবারের সদস্যরা রাজি হননি। ফল স্বরূপ আজ সোমবার রোগীর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় রোগী পরিবার। তখন তারা প্রশিক্ষণরত ওই নার্সের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যেই ওই নার্সকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিশ। দুই তরফের পক্ষ থেকেই পাওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।
হাসপাতালের সুপার জানান, রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু, রোগী পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে যায়নি। এই হাসপাতালে রেখে দিয়েছিলেন। তিনি জানান, সিউড়ি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় বর্ধমানে রেফার করা হয়েছিল। এর জন্য রোগী পরিবারের কাছ থেকে ডিক্লেয়ারেশন লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপরেও রোগীর মৃত্যুর পর একজন প্রশিক্ষণরত নার্সকে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি।
সুপার জানান, যাকে মারধর করা হয়েছে তিনি এখন প্রশিক্ষণরত। আগামী দিনে নার্স হবেন। এই ঘটনায় মানসিকভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন। তাঁকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। মারধরের ঘটনায় তিনজন জড়িত ছিল। তার মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। যা যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার পুলিশ তা নেবে।