স্যালাইনকাণ্ডে বিতর্কের পর দুটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল এবং পরে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিজের ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারপরেই হাসপাতালগুলিকে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান থেকে বা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনে রোগীদের সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, অভিযোগ উঠছে অনেক হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানগুলি ওষুধ সরবরাহ করতে চাইছে না। তার ফলে সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বন্ধের পর সরকারি হাসপাতালে নিষিদ্ধ হল ফার্মা ইমপেক্সের ১৭ ধরনের ওষুধ
প্রসঙ্গত, এই সংস্থাগুলির ওষুধ বন্ধের পর হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজগুলি যাতে ওষুধ কিনতে পারে তার জন্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আর্থিক তহবিল পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলি ওষুধ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করেছে। কিন্তু, সমস্যায় পড়ছে জেলার হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলি। এর কারণ হল, ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। দোকানগুলি ওষুধ সরবরাহ করতে চাইছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনিতেই জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়। ফলে হাসপাতাল বা কলেজের কর্তারা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল।কলেজগুলিতে আগে এই দুটি সংস্থা ২৫ রকমের ওষুধ সরবরাহ করত। তবে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন ব্যবহারের ফলে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এই সংস্থার ওষুধ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এদিকে, স্যালাইনকাণ্ডের পরে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ওষুধ সরবরাহ করছিল ফার্মা ইনফেক্স। তবে সম্প্রতি এই সংস্থার আইডি ফ্লুইডে ছত্রাক পাওয়ায় ১৭ রকমের ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একইসঙ্গে, ওষুধ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এই সংস্থার বারুইপুরের ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেছিলেন স্বাস্থ্য অধিকারিকরা তারপরে সংস্থার ওষুধ ব্যবহার বন্ধের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, স্যালাইন ছাড়াও সংস্থাগুলি যে ধরনের ওষুধ সরবরাহ করত তার মধ্যে রয়েছে ব্যথা উপশমের ওষুধ, জরুরি কিছু অ্যান্টিবায়োটিক প্রভৃতি। রাজ্যের নির্দেশে বলা হয়েছিল, নতুন সংস্থাকে টেন্ডার না দেওয়া পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে ওষুধ কিনে রোগীদের সরবরাহ করতে হবে। আর ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানগুলি তা সরবরাহ না করার ফলে সমস্যা হচ্ছে।