বাংলাতেও এবার কৃষি জমিতে কীটনাশক ছড়ানো যাবে ড্রোনের মাধ্যমে। এর আগে চা বাগানে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ানোর ক্ষেত্রে সাফল্য মিলেছে। সেই সাফল্যের দিকে তাকিয়েই এবার কৃষি জমিতেও কীটনাশক ছড়ানোর জন্য ড্রোন সরবরাহ করবে রাজ্য সরকার। এই ড্রোনের দাম ১০ লক্ষ টাকা। তবে রাজ্য সরকার ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে। শুধু তাই নয় কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে কৃষকরা ঋণ নিয়েও ড্রোন কিনতে পারবেন।
বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের, সমস্যা মেটাতে বৈঠক করবেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোন কেনার জন্য কৃষকরা মাটির কথা ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এই ড্রোনের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটেই ৫ বিঘা জমিতে কীটনাশক ছড়ানো সম্ভব। একইসঙ্গে পাঁচ থেকে সাত লিটার জল নিয়ে উড়তে সক্ষম এই ড্রোন। ১০ ফুট উঁচু থেকে ধান জমিতে কীটনাশক ছড়ানো যাবে। তার নিচে উড়লে সেক্ষেত্রে ধান গাছের ক্ষতি হতে পারে। ফলে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ালে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।
একটি বেসরকারি সংস্থা এই ড্রোন সংগ্রহ করবে। ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে কথা সম্পন্ন হয়েছে। ড্রোনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এটি চালানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমোদন লাগে। তাই কেনার পরেই চাষীদের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। কৃষি জমিতে ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে জেলা কৃষি আধিকারিক আশিস বারুই জানিয়েছেন, প্রতি বছরই রাজ্য সরকার কৃষি যন্ত্রে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এই প্রথম ড্রোন পেতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। এর মাধ্যমে চাষ করা আরও সহজ হবে। ড্রোন নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে এত দামে ড্রোন কেনা কৃষকদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন অধিকাংশ চাষীরা।