বাড়ির মধ্যেই ছিল কারখানা। আর সেখানেই মেশিন চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন বাবা এবং ছেলে। মঙ্গলবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে হাওড়ার ইছাপুরের পূর্বপাড়ায়। প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন বাবা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল ছেলেরও। কারখানা চালু করতে গিয়েই এমন বিপত্তি ঘটেছে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে হাওড়ায়? পুলিশ সূত্রে খবর, রোজকার মতোই মঙ্গলবার সকালে বাড়ির মধ্যে থাকা কারখানায় মেশিন চালু করতে গিয়েছিলেন শৈলেন হাজরা (৫৮)। মেশিন চালু করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসে ছেলে স্বপ্নিল হাজরা (২১)। কিন্তু বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
কী জানতে পারল পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার মানুষ ও তাঁদের পরিজনরা প্রথমে দু’জনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠামো হয়েছে। জগাছার ইছাপুরের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা শৈলেন হাজরার (৫৮) হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে।
এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাবা এবং ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। পরিবারেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিভাবে এই বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটেছে? তখন কারা উপস্থিত ছিল? বিদ্যুৎ সংযোগ হল কী করে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।