মঙ্গলবার রাতে চা বাগানের রাস্তা ধরে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুরজ লোহার। আর ওই বাগানেই ওঁত পেতে বসেছিল সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত। একটা পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। এদিকে পেছন থেকে বাবা ও ছেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানের ঘটনা। চিতাবাঘের হামলায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাবা ও ছেলে। চিতাবাঘের নখের আঁচড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায় সুরজের শরীর। এদিকে বাবাকে ছেড়ে এবার ছেলের উপর ততক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে চিতাবাঘ। কিন্তু আর দুবার ভাবেননি সুরজ।
পাঁচ বছরের ছেলে অনুষকে বাঁচাতে এবার চিতাবাঘের উপরেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সুরজ। নিজের জীবনকে বাজি রেখে ছেলেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন সুরজ। শেষ পর্যন্ত বাবার জেদের কাছে পরাজিত হয় চিতাবাঘও। নিজে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছেলেকে আগলে চা বাগানের মাটিতেই শুয়ে পড়েন সুরজ। তবুও মুখে তৃপ্তির হাসি। ছেলেকে বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। সুরজ জানিয়েছেন, ছেলেকে বাঁচাতে চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জখম অবস্থায় তাঁকে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। বনদফতর তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে বলে জানিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জখম ব্যক্তির অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে ছেলেকে বাঁচাতে চিতাবাঘের সঙ্গে বাবার লড়াইয়ের কাহিনী এখন ঘুরছে স্থানীয়দের মুখে মুখে। অনেকেই বাবার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।