শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ। এই অভিযোগ তুলে গৃহবধূর শ্বশুরকে বেধড়ক মারধর করলেন বাপের বাড়ির লোকেরা। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। নদিয়ার শান্তিপুরের রামনগর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধুর নাম সাধনা ব্রাহ্মণ (২০)। বছরখানেক আগে তার বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার উপর অত্যাচার চালাতেন। মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকবার ওই গৃহবধূ শান্তিপুর ঘোড়ালিয়ায় কুন্ডপাড়ায় বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। দিন-চারেক আগে ফের অশান্তি তৈরি হয়। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধূ আবারও বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরে মানসিক অবসাদে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউই ছিলেন না। পরে বাড়ির লোকেরা ফিরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর গৃহবধূর শ্বশুর তাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। সেখানে সাধনার পরিবারের লোকজন তার শ্বশুরের উপর চড়া হয় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ হাসপাতাল চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।