স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি। তার জেরে নিজের ৪ বছরের শিশু কন্যাকে খুন করে নদীতে ফেলে দিল বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মায়াকোল গ্রামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা সেই শিশুর অভিযুক্ত বাবাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। অভিযুক্তর নাম বুদ্ধদেব ঘোষ। এমন ঘটনায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। (আরও পড়ুন: বছর ১২-র নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার ২৩ বছরের তরুণী)
আরও পড়ুন: ৭৬ বছরে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চেয়েছিল, আপত্তি করায় ছেলেকে গুলি করে খুন বাবার
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসারিক অশান্তির জেরে বুদ্ধদেবের স্ত্রী হোলির দিন বাপের বাড়ি চলে যান। তখন বন্ধুদেব বাড়িতে ছিল না। বাড়িতে ফেরার পর বাড়িতে ফেরার পর বুদ্ধদেব জানতে পারে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি তাকে না জানিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপর শিশু কন্যাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাকে বাড়ি থেকে জলঙ্গি ব্রিজে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রথমে খুন ও তারপরে তাকে ধাক্কা মেরে ব্রিজ থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। পরে বাড়ি ফিরে এসে বুদ্ধদেব জানাই যে তার মেয়েকে সে মেরে ফেলেছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে। পরে নদী থেকে শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। কিন্তু, ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়। সেন্টু ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুনেছি বুদ্ধদেবের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাই নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি হতো।’ (আরও পড়ুন: মেধাবী ভারতীয় ডক্টরেট ছাত্রীর ভিসা বাতিল USA-র, কে এই রঞ্জনি শ্রীনিবাসন?)
আরও পড়ুন: বরোদায় মহিলাকে পিষে 'নিকিতা' বলে চেঁচায় সেই চালক, কে এই 'নিকিতা'?
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি জানান, বুদ্ধদেব প্রথমে কিছুতেই মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেনি। প্রথমে সে জানায়, মেয়েকে অন্য জায়গায় রেখে এসেছে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন সে খুনের কথা স্বীকার করে। এরপর জলঙ্গি নদীতে নৌকা নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে জলঙ্গি ব্রিজের উপর মেয়েটিকে আছাড় মেরে ব্রীজের উপর ফেলে দেয় অভিযুক্ত। তাতে তার মেয়ের ফাটা মাথা ফেটে যায়। এরপর তাকে ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয়। এমন ঘটনায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপপ্রধান। তিনি জানিয়েছেন, একজন বাবা যদি মেয়েকে এভাবে খুন করতে পারে তাহলে অবিলম্বে তার ফাঁসি হওয়া উচিত।