ছেলেটি একজন বিবাহিত মহিলাকে ভালবেসে ছিল। আর ভালবাসার তেজ গতিতে সেই বিবাহিত মহিলাকে বাড়িতে এনে তুলেছিলেন ছেলে। অপরাধ বলতে এতটুকুই। আর তার জেরে তাঁকে খুন হতে হল। তাও আবার নিজের বাবার হাতে। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও আজ এটাই বাস্তব। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছেলেকে কুপিয়ে খুন করল বাবা! তবে পালিয়ে না গিয়ে নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বজবজের সাঁকপুকুরের মল্লিকপাড়া অঞ্চলে। পুলিশ ছেলের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের নাম হায়দার মল্লিক (১৯)। ভালবাসার জন্য প্রাণ পর্যন্ত দিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সমীর মল্লিকের ছেলে হায়দার মল্লিক নোদাখালি চণ্ডীপুর অঞ্চলের এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মহিলার অবশ্য দেড় বছরের সন্তান রয়েছে। হায়দার ওই মহিলা এবং তাঁর সন্তানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। তার জেরেই পরিবারে অশান্তি চরমে ওঠে। বাবা সমীর ছেলে হায়দারকে ওই মহিলাকে ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। ছেলে হায়দার ওই মহিলাকে ভালবাসেন এবং তার সঙ্গেই থাকবেন বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তাতেই হায়দারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর সেই অশান্তি চরমে ওঠে। তথন রাগের মাথায় বাবা সমীর হায়দারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে হায়দারের গলায় কোপ বসিয়ে দেন। মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হায়দার। হাসপাতালে নিয়ে গেলে হায়দারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনুতপ্ত বাবা সমীর বজবজ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। তবে এই ঘটনার পর তিনি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। বুঝে উঠতে পারছেন না কি করলেন তিনি। ওই মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।