ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে গঙ্গাবক্ষে লঞ্চ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সমবায় দফতর। সম্প্রতি সমবায় দফতরের তরফে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কী সমস্যা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট কিনা প্রশ্ন উঠছে সমিতির ভিতরেই।
কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির অধীনে ৯টি রুটের মোট ২৬টি লঞ্চ চলে। আগে সব রুট মিলিয়ে ডিজেলের জন্য মাসে ৪০ লাখ টাকা খরচ হত। এখন সেই ডিজেলের খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাসে এই খাতে খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা। এছাড়াও স্থায়ী, অস্থায়ী মিলিয়ে ২৮০ জন কর্মীর বেতন ও ইএসআই মিলিয়ে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকা। করোনা আসার পর লঞ্চে যাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এখন সব মিলিয়ে আয়ের তুলনায় খরচের পরিমাণ ২৮ লাখ টাকা বেশি হচ্ছে। ৯টি রুটের মধ্যে যে রুট থেকে আয় তুলনামূলক ভাবে বেশি হচ্ছে, সেটি হল নাজিরগঞ্জ থেকে মেটিয়াবুরুজ রুট। অন্যান্য রুট থেকে আয় তেমন হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের এক মাসের বেতন বাকি রয়েছে। গত বছর পুজোর সময়ের বোনাসের টাকাও বাকি। রক্ষণাবেক্ষণের কাজও ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না।
তবে সংকটজনক পরিস্থিতিতে আর্থিক সাহায্য করতে পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের সমবায় দফতর। সমবায় দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে দফতরের তরফে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই টাকার কিছু অংশ দিয়ে কর্মীদের এক মাসের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার পর থেকে টিকিট বিক্রির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তার সঙ্গে বেড়েছে ডিজেলের দাম। ফলে আমরা সমস্যায় পড়েছি। তবে সমবায় দফতরের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।