নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়ার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হল নন্দীগ্রাম-বালুঘাটা ফেরি পরিষেবা। প্রতিদিন বহু মানুষ এই জলপথের মাধ্যমে হলদিয়ায় যাতায়াত করেন। তবে সেই ফেরি পরিষেবা জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। এমন অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিজেপির বুথ সভাপতি শুভেন্দু জানা এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাইতে BJP-র পালটা কর্মসূচি কলকাতায়, সেখানেও সুকান্ত-শুভেন্দু ‘মতবিরোধ’
হলদি নদীর তীরে অবস্থিত নন্দীগ্রাম থেকে খুব সহজেই হলদিয়া যাওয়ার জন্য একাধিক ফেরি ঘাট রয়েছে। তার মধ্যে এই ফেরি ঘাটটি হল উল্লেখযোগ্য। তবে অভিযোগ উঠছে যে শুক্রবার বহু মানুষ এই ঘাট থেকে হলদিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকায় উঠেছিলেন। তখন শুভেন্দু ও তার দলবল গিয়ে যাত্রীদের জোর করে নৌকা থেকে নামিয়ে দেন। এমনকী তার বাধায় ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার পর্যন্ত এই ঘাটে ফেরি পরিষেবা চালু করা যায়নি। তারফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি নেতা শুভেন্দু ফেরি পরিষেবা চালু করার জন্য ঘাটের সরকারি এজারাদার প্রভাতের কাছে মোটা টাকা দাবি করেছেন। জানা যাচ্ছে, জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এই ঘাটে ফেরি পরিষেবা চলাচল করে। তবে বিজেপি নেতার দাদাগিরির ফলে বহু মানুষ যেমন সমস্যায় পড়েছেন তেমনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইজারাদার।
ইতিমধ্যেই প্রভাত নন্দীগ্রাম থানায় শুভেন্দু জানা সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, তিনি টাকা দাবি করছেন। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, ফেরি ঘাটের জমিটি তার।
এ প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এখানে নৌকা চলাচল করছে, অথচ সেখানে এখন শুভেন্দু জানার জমি বেরিয়ে এল। তিনি একদিন কোথায় ছিলেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তবে বিজেপি দাবি করেছে, জমিটি শুভেন্দু জানার। এর সমস্ত তথ্য রয়েছে তার কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে সেই তথ্য জমা দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে বিজেপি দলের কোনও যোগ নেই।