মাথার ওপর বিজেপির চাপ। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে চালু করতে দেয়নি তা রোজ রাজ্যবাসীকে মনে করাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। পালটা মমতার হাতিয়ার স্বাস্থ্যসাথী। তাই সেই প্রকল্প নিয়ে কোনও অভিযোগ শুনতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে মানুষের এতটুকু ভোগান্তি যে এতটুকু বরদাস্ত নয় তা বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কোনও হাসপাতাল কোনও রোগীকে ফেরালে থানায় ডায়েরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, দরকারে বাতিল করা হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানেই স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, ‘স্বাস্থ্য সাথী পার্ড নিয়ে কেউ প্রকল্পের তালিভুক্ত হাসপাতালে গেলে তাকে ফেরানো যাবে না। কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিত্সা দিতে না চাইলে থানায় গিয়ে আইসিকে ডায়েরি করুন। তদন্ত করে হাসপাতালের গাফিলতি পাওয়া গেলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। মনে রাখবেন সরকার পারমিট দেয় বলেই আপনারা ব্যবসা করেন।’
মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ‘স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বছরে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে সরকার। হাসপাতাল গুলো বিনা পয়সায় চিকিত্সা করে না। তাদের সরকার পয়সা দেয়।’
যদিও বেসরকারি হাসপাতালের মালিকদের একাংশের দাবি, ‘সরকারি প্রকল্পে চিকিত্সা দেওয়ার জন্য সরকার যে দর বেঁধে দিয়েছে তাতে খরচ ওঠে না। তার পর তার ওপর রয়েছে বকেয়া টাকা আদায়ের ঝক্কি। তা সত্বেও শাসকদলের কেষ্ট – বিষ্টুদের হাতে রাখতে যতটা সম্ভব পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে হাসপাতালগুলি।’