Pঅবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছলেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার কার্যত লুকিয়ে সন্দেশখালি ঢোকেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন DYFIএর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন মীনাক্ষী।
এদিন ভোরে কলকাতা থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন মীনাক্ষী সহ কয়েকজন DYFI নেতা। ছিলেন উত্তর ২৪ পরনার DYFI নেতা পলাশ দাসও। তাঁদের অভিযান এতটাই গোপন ছিল সিপিএমের অনেক রাজ্য কমিটির সদস্যও তা জানতেন না। মুখ ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে খেয়া পার করে সন্দেশখালি পৌঁঠন তাঁরা। এর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মেট্রোর কাজ- ট্রায়ালের পরে চিংড়িঘাটায় ৭৫ দিনের ‘ব্লক’, এখন কোন পথে যাবে গাড়ি?
একাধিক গ্রামবাসী মীনাক্ষীকে জানান, তারা সিপিএম করতেন। সেজন্য শাহজাহান বাহিনীর চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাদের। শেষে প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষায় তৃণমূলের হাত ধরতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এমনকী গ্রামে সিপিএমের পতাকা বাঁধা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মীনাক্ষী আসায় এদিন ফের গ্রামে ওড়ে লাল পতাকা।
তবে মীনাক্ষীর এই গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের একাংশের যে সেটিং রয়েছে তা ফাঁস হয়ে গিয়েছে মীনাক্ষীর এই গোপনীয়তায়। সেই নেতারা মীনাক্ষীর পরিকল্পনা তৃণমূল নেতাদের কাছে ফাঁস করে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা থেকেই এই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছে।