বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > কাঁথি পুরসভায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, নবান্নের নির্দেশে অধিকারী গড়ে তদন্ত

কাঁথি পুরসভায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, নবান্নের নির্দেশে অধিকারী গড়ে তদন্ত

নবান্ন (‌ছবি সৌজন্য টুইটার)‌

এই পরিস্থিতিতে কাঁথি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগে শুরু হল তদন্ত।

ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে সমুদ্রসৈকত উপকূল দিঘা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৎকালিন সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি এখন বিজেপিতে এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এরপর উঠে আসে কাঁথি পুরসভায় ত্রিপল চুরি থেকে হিসেবের গড়মিলের বিষয়। আর কিছুদিন পর রাজ্যের সব পুরসভায় নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতিতে কাঁথি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগে শুরু হল তদন্ত।

এদিকে বুধবার কাঁথি পুরসভায় তদন্ত করতে নথিপত্র সরেজমিনে দেখতে শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। নবান্নের নির্দেশেই এই তদন্ত শুরু হয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই পুরসভায় দীর্ঘদিন শাসন চালিয়েছে অধিকারী পরিবার। চেয়ারম্যান ছিল এই পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী। তিনিও এখন বিজেপিতে। এছাড়া শিশির অধিকারী কাঁথি পুরসভা একাধিকবার চেয়ারম্যান ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি এখানে নাক গলাতেন বলেই খবর।

অন্যদিকে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সেখানে ব্যাপক গড়মিল ধরা পড়েছে। তাই পুরসভা নির্বাচনের মুখে নবান্নের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। একাধিক প্রকল্পের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানবকুমার সিংহলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নবান্নের প্রশাসনিক কর্তারা সমন্বয় করে এই তদন্ত শুরু করেছে।

কাঁথি পুরসভা সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী থাকাকালীন কাঁথি পুরসভার পথবাতি বসানোর যে অর্থ তাঁর দফতর থেকে বরাদ্দ হয়েছিল, সেখানে অনিয়ম হয়েছে। তাই শুরু হয়েছে তদন্ত। এছাড়া আর্থিক লেনদেন নিয়েও অনেক গড়মিল রয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে সৌন্দর্য না করে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী বলেন, ‘‌অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল কাঁথি পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছেন। আজ উন্নয়নমূলক আলোচনা হয়েছে।’‌ এই তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভার বহু নথি পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। আগামী পদক্ষেপ কি করা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

বন্ধ করুন