বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর করলেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী আবু সোহেল। নূপুর শর্মা ধর্মী ভাবাবেগে আঘাত করা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই কাঁথি থানায় গতরাতে অভিযোগ দায়ের করেন আবু সোহেল। এদিকে আজকে পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে মিছিল হওয়ার কথা কাঁথিতে। সেই মিছিল ঘিরে যাতে হিংসা না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে বৃহস্পতি, শুক্রের পর শনিবারও হাওড়া থেকে হিংসার খবর মিলেছে। হিংসার জেরে আজকে উলুবেড়িয়া সাবডিভিশনে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। পাঁচলা ও জগৎবল্লভপুর থানা এলাকায় বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে ১৪৪ ধারা। এই আবহে শান্তির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে তোপ দেগে এদিন মমতা টুইট করে লেখেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নূপুরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নূপুর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নূপুর। এরই মাঝে অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের ১৫টি দেশ এই বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে ভারতের জবাবদিহি চায়। এই বিতর্কের আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না।