বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় দুবরাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেশ বাউরির বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআর। পাশাপাশি এফআইআরে আরও কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নামও আছে।
পাঁচিল দিয়ে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্বভারতীর বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া এবং স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তাঁদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আলোচনায় বসার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে পাত্তা না দিয়ে পৌষমেলার মাঠ ঘেরার কাজ চলতে থাকে। ফলে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছিল। সোমবার তা জনরোষে পরিণত হয়। মিছিল করে পে-লোডার নিয়ে এসে ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল, বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প। মিছিলে আগাগোড়া ছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়কও।
যদিও সেই ঘটনা নিয়ে সোমবার বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। বরং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে সোমবার আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারপর মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্ধারণের জন্য সেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তারইমধ্যে তাণ্ডবের ঘটনায় শান্তিনিকেতন থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে নির্দিষ্টভাবে নরেশ বাউরির নাম উল্লেখ করা হয়। গগন সরকার-সহ আরও কয়েকজন স্থানীয় নেতারও নাম আছে অভিযোগপত্রে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নরেশ-সহ ন'জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
এদিকে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোধরা বসু জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বুধবার (আগামিকাল) বসবেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের কথা শুনবেন তিনি।