কন্যা সন্তান হয়েছে পুত্রবধূর। তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি শ্বশুর-শাশুড়ি। তারপর থেকেই গৃহবধূর ওপর নেমে আসে অত্যাচার নির্যাতন। এমনকি তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয়। শেষমেষ প্রাণভয়ে ৯ মাসের কন্যাসন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে বাঁচলেন গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ উঠেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়।
গৃহবধূ জানান, প্রমোদ পল্লী এলাকায় এক যুবকের তার বিয়ে হয়েছিল আড়াই বছর আগে। গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুর শাশুড়ী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত। তবে কন্যা সন্তান হওয়ার পর অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। এমনকি বালিশ চাপা দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
গৃহবধূর স্বামী পুনেতে কাজ করেন। তিনি বাড়িতে না থাকলে অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। বলে অভিযোগ। স্বামীর বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন গৃহবধূ। তবে তার স্বামী অনেক সময় মারধরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে গৃহবধূ জানান। গৃহবধূর অভিযোগ, তার কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে তার শশুর, শাশুড়ি এবং তার ননদ তাকে বেশি মারধর করতো। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে কয়েক বার। তাই প্রাণভয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসে ঠাঁই নিয়েছেন ওই গৃহবধূ।
এই ঘটনায় শাশুড়ি এবং তার ননদের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। শুধু তাই নয় গৃহবধূর অভিযোগ, তার বাবার বাড়িতে এসেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তার শশুর শাশুড়ি। গৃহবধূ চাইছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।