কোনও কৃষক ধান বিক্রির করতে গিয়ে যদি হেনস্তার শিকার হন, তাঁকে যদি ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে সেই কৃষক থানায় গিয়ে এফআইআর করতে পারবেন। সোমবার এই কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, অনেক কৃষকই কৃ্যকমান্ডিতে গিয়ে ধান বিক্রি না করে ফেরত এসেছেন। এদিন বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী এই একই প্রসঙ্গ তুলে কৃ্যকদের উদ্দেশ্যে জানান, ‘আপনারা কৃ্যকমাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে গেলে আপনাদের যদি ফেরত পাঠানো হয়, ঘোরানো হয়, তাহলে বিডিও অফিসে যাবেন, পুলিশের কাছে গিয়ে এফআইআর করুন। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কোনও কৃষক ধান নিয়ে ফিরে না আসে। এর আগে বাঁকুড়ায় এই একই অভিযোগ এসেছিল। সরকারের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এখনও যদি কোনও কৃষক হেনস্তার শিকার হন, এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পঞ্চায়েতগুলিকেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি যারা কৃষি বিপণনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্য থেকে এক লাখ মেট্রিকটনও ধান কেনেনি। অথচ যে রাজ্যে আমাদের থেকে ধান কম হয়, সেখান থেকে ধান কিনেছে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে ২৫৩ লাখ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন করা হয়। এরমধ্যে রাজ্যে যে বিনা পয়সায় চাল দেওয়া হয়, তা এখান থেকেই করা হয়। রাজ্য সরকারের তরফে কৃষক রত্ন পুরষ্কার দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘৭৯ লাখ কৃষককে ২৩৮৫ কোটি টাকা একবারে সাহায্য করেছে সরকার। ৭৯ লাখ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গেল। আগে যে সব কৃষকদের এক একর জমি আছে, তাঁদের ৬ হাজার টাকা দেওয়া হত। পাশাপাশি ক্ষেত মজুমদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। কিন্তু নির্বাচনের সময়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ৬ হাজার টাকা ১০ হাজার করব। সেই মতো মুখে কথা বলাই নয়। আজ সেই টাকা পৌঁছেও গেল। আমাদের কৃষকদের আয় তিন গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’