আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কাঠের গুদাম—সহ আসবাবপত্রের দোতলা দোকান। শনিবার রাতে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়ার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায়।
ঘটনার তিন ঘণ্টা পর দমকল আসায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকেরা। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, দোতলা আসবাবপত্রের দোকানটি ছিল বলাই দাস নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর। ওই দোকানটিতে অসংখ্য কাঠ ও কাঠের আসবাবপত্র মজুদ ছিল। গভীর রাতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা দোতলা কাঠের দোকান।
ব্যবসায়ী বলাই দাসের দাবি, প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তাঁর অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলে, প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে আসে দমকল। ততক্ষণে গ্রামবাসীরা প্রায় দশটি শ্যালো মেশিন লাগিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন।
রবিবার ভোর চারটে নাগাদ দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ওই গুদামের বহু জায়গায় পকেট ফায়ার থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল ৬টা বেজে যায়। ঘিঞ্জি ও জনবহুল এলাকা হওয়ায়, ওই এলাকায় গাড়ি ঢোকাতে ও আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে দমকল এসেছে। তাঁদের দাবি, আগে আসলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হত। শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন, না কি কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দমকল ও পুলিশ।