সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল হুগলির একটি পঞ্চায়েত ভবন। ভয়াবহ আগুনে কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গেল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। আজ শুক্রবার সকালে খানাকুলের অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে আগুন লাগে। ইদানীং বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে একের পর এক এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার ওপর সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত অফিসে এভাবে আগুন লাগার ঘটনায় দুর্নীতি প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। তবে বিরোধীদের বক্তব্য, এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই আগুন লাগানো হয়েছে।
দমকল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই পঞ্চায়েত অফিসের তিনতলায় সাতসকালে আগুন লাগে। তখনও পঞ্চায়েত কার্যালয় খোলেনি। প্রথমে গোটা পঞ্চায়েত অফিস থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয়রাই প্রথমে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রচুর কাগজ এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছন পঞ্চায়েত প্রধান এবং স্থানীয় বিডিও। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে খবর পাওয়ার পরেও কিছুটা দেরিতে পৌঁছয় দমকল। তার আগেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় পুরো পঞ্চায়েত অফিসটি। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা। দমকলের বক্তব্য, রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় তাদের ঘুরতি পথে আরামবাগ থেকে সেখানে পৌঁছতে হয়েছে। সেই কারণে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
আগুনে কার্যত ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত অফিসের তিনতলার ভবনটি। পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু বর জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। তবে সেই দাবি মানতে রাজি নন পুড়শুড়ার বিজেপির বিধায়ক বিমান ঘোষ। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট জন্য আগুন লাগানো হয়েছে। তবে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জয়দেব জানা। তিনিও দাবি করেছেন শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। যদিও আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। দমকল তা খতিয়ে দেখছে। তবে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কালবৈশাখীর কারণে ওই গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। তাহলে সেক্ষেত্রে শর্ট সার্কিট কীভাবে হল তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup