হাওড়ার শালিমারের কাছে একটি রঙের কারখানায় আচমকাই আগুন লাগে। আচমকা আগুন লেগে যাওয়ায় কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তিনটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় কারখানার ম্যানেজার অশোক কুমার ভার্মা সহ ২১ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ জনকেই দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে রঙের কারখানায় কাজ চলছিল। সেইসময় আচমকাই কারখানার একটা অংশ থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে করে জ্বলতে থাকে গোটা কারখানা। কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কর্মীরা। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে কী কারণে এই আগুন লেগেছে, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। আগুন নেভা না পর্যন্ত কারখানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা জানা সম্ভব নয়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এসি মেশিনে আগুন লেগেছে। জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে সিএমআরআই, ৩ জন ডিসান ও ২ জন এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছে। এসএসকেএমে ভর্তি তপন দেশাই নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাশাপাশি উত্তম দাস নামে এক ব্যক্তিও গুরুতর জখম হয়েছেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী অরূপ রায় ও শিবপুরের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী সহ আরও অনেকে।
এর আগে গত মাসে মহেশতলায় একটি গেঞ্জির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে সেই ঘটনায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকল কর্মীরা। তখন দমকল কর্মীরা জানিয়েছিলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র থেকেই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি ঘটনা ঘটে গেল হাওড়ার শালিমারের কাছে।