হাইটেনশন লাইনের নীচে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল বাড়ি। সেখানেই অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড় ফাঁড়ি এলাকার বাঁকড়া মিশ্র পাড়ায়। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের এরিয়া ম্যানেজার সমীর কুমার পাল জানান, ‘এই পুড়ে যাওয়া বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কোনও আইন মানা হয়নি। হাওড়া-লিলুয়া সার্কিট দিয়ে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। সেই সার্কিটটি এদিন বসে যায়। ওই সার্কিটের তলাতেই অবৈধভাবে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।’ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের ফলেই এই অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, দমকল দফতরের কর্মী ঠিকসময় এসে আগুন নেভানোর কাজ করায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসনের তরফে বাড়ির ভিতরের সব লোককে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি ভাঙার কাজ শেষ হয়ে গেলে ফের সার্কিটটি চালু করে দেওয়া হবে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব যাতে সার্কিটটিকে চালু করা যায়, সেবিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। সার্কিটটিকে চালু করতে না পারলে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাবে। একইসঙ্গে এরিয়া ম্যানেজার জানান, প্রশাসনকে না জানিয়ে হাইটেনশন লাইনের নীচে অনেকেই বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন। এভাবে হাইটেনশন লাইনের নীচে বাড়ি তৈরি করবেন না। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বসে যাতে এই ধরনের কাজ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। বাড়ির বাসিন্দা সুরজ কুমার সাউ জানান, ‘বাইরে খেতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি বাইরের পোস্টে আগুন লেগে গেছে। বাড়ির ভিতরেও আগুন লেগেছিল। মিটারবক্সে আগুন লেগে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি। সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।’