বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসকে তোপ দেগে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পরবর্তী লক্ষ্য যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও বারংবার উঠে এসেছে সেই কথা। এবং সেই লড়াই জিততে যে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকে রেয়াত করা হবে না, তাও স্পষ্ট। আর এবার অভিষেক-মমতার সুর শোনা গেল ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও। শতাব্দী প্রাচীণ দলকে তাঁর কটাক্ষ, হাত মেলাও, নয়ত সিপিএমের মতো হাল হবে।
জাতীয় স্তরে অ-বিজেপি দলগুলিকে একজোট করার বার্তা দিয়ে বাদল অধিবেশনের সময় দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি বিরোধী মূল মুখ হিসেবে যে মমতাকে কংগ্রেস মেনে নেবে না, তাও একপ্রকার স্পষ্ট। এরপর থেকেই একে একে কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে শাখা বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
রবিবার খড়দায় এক নির্বাচনী সভায় গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বাংলায় তথা ভারতে কংগ্রেসের যা হাল, তাতে ওদের তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানো উচিত। নয়তো, ওদের দশাও সিপিএমের মতো হবে। কেউ আটকাতে পারবে না।'
প্রসঙ্গত, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে দুই শিবিরেই। একদিকে যেখানে মমতাকে সমর্থন করার কথা বলে ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। সেখানে আবার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লাভ হয়নি বলে রব উঠেছে সিপিএমের অন্দরে। আবার বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মালদা-মুর্শিদাবাদ খোয়াতে হয়েছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই দুই জেলাতেও একটি আসনও পাননি অধীররা। এই আবহে কংগ্রেসকে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা ফিরহাদের। যদিও জাতীয় স্তরে কংগ্রেস মমতার প্রভুত্ব মানবে কি না, তা বড় প্রশ্ন। অপরদিকে রাহুল গান্ধীকেও বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মেনে নেবে না তৃণমূল।