এবারের ভোটের নিরিখে আলিপুরদুয়ারে একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। পাঁচটি আসনই গিয়েছে বিজেপির দখলে। এসবের মধ্যে রাজনৈতিক হিংসা এখনও অব্যাহত আলিপুরদুয়ারে। মঙ্গলবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ারে বঞ্চুকামারি এলাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সমীর ঘোষের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল শিবিরের দাবি, সমীর ঘোষকেই টার্গেট করেছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি রক্ষা পেয়েছেন। বুধবার এনিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সমীর ঘোষ। অভিযুক্ত অমিত ঘোষকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব।
এদিকে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, এলাকায় সন্ত্রাস পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেকারণেই গুলি চালানো হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করতে হবে। তবে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের পালটা দাবি, যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে তবে তা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নন। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, গুলি চলেছে বলে যা বলা হচ্ছে তা প্রমাণ কোথায় কোথায় গুলি চলেছে। এবার তো পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে এভাবেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হবে। পুলিশ নীরব থাকবে আর আমাদের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করবে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের কাছে বন্দুক নেই। রাজনৈতিকমহলের মতে, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয়জয়কার হলেও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির মতো জেলাতে বিজেপির জয়জয়কার। তবে কী তার জেরেই এবার বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে শাসকদল