চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন দেউচা পাচামি কয়লা শিল্পের জন্য জমিদাতারা। শুক্রবার ২৬০ জনের হাতে জুনিয়র কনস্টেবলের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। আরও কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হবে। তাঁদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে। এদিন জমিদাতাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে ঠকায় না। মিথ্যা কথা বলে না।’
এদিন সিউড়ির বীরভূম ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ২৬০ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায় ও পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এদিন ছেলেমেয়েদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলে তা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাবাদী নয়। সাড়ে পাঁচ হাজার ছেলেকে চাকরি দিচ্ছে। আর যারা বড় বড় কথা বলে তারা চাকরি দেয় না। বেকার ছেলেমেয়েদের ঠকায়। আগে চাকরি, তারপর খনন। এ কী ভাবা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে ঠকায় না। মিথ্যা কথা বলে না।’ একইসঙ্গে দেউচা পাচামির প্রসঙ্গ তুলে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি জানান, ‘দেউচা পাচামি যখন হবে, তখন সিউড়ি ভালো হবে, মহম্মদবাজারের ভালো হবে। শুধু সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের কাজ নয়। এক লাখ মানুষের কাজ হবে। দেউচা পাচামি হলে বেকার ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফুটবে।’ এদিন পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, ‘আজকে ২৬০ জন সিপাহী চাকরিতে যোগ দিচ্ছে। আমি এদেরকে সিপাহীই বলব। এরা শুধু চাকরিই পাবে না, সামাজিক সুরক্ষাও পাবে।’
এদিন চাকরি পাওয়া একজন নিয়োগপত্র পেয়ে জানান, ‘আমাদের জমি নিচ্ছে। তার জন্য চাকরি দিচ্ছে। আমরা খুব খুশি। খুব গর্বিত।’ আরেক জন জানান, ‘আমাদের দেউচা পাচামিতে জমি আছে। সেই জমি আমরা সরকারকে দিয়েছে। সরকার মানবিক প্যাকেজ হিসাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেজন্য আমরা খুব খুশি।’ উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেউচা পাচামিতে জমিদাতাদের জন্য সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কথা মতোই এদিন জমিদাতাদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল।