প্রমোদ গিরি
সোমবার জিটিএ কাউন্সিলের প্রথম মিটিং অনুষ্ঠিত হল। আর সেই প্রথম মিটিংয়েই গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে বড় প্রস্তাব। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে ফের গোর্খাল্যান্ড সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে শুরু করার ব্যাপারে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অনীত থাপার নেতৃত্বে ৫০ সদস্য বিশিষ্ট জিটিএ সভা সর্বসম্মতভাবে সেই প্রস্তবকে মেনে নিয়েছে। এদিকে চলতি বছরেই জিটিএ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
সভার চেয়ারম্যান অঞ্জুল চৌহান জানিয়েছেন, জিটিএর চিফ এক্সিকিউটিভ তথা দলের সভাপতি অনীত থাপা এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে জিটিএর ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। তবে সেই সময়ও গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে ফেলে দেওয়া হয়নি। সুতরাং আবার এনিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।
এদিকে জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে জিটিএ সভাসদ বিনয় তামাংয়ের দাবি চিঠির আকারে এই রেজোলিউশনকে মান্যতা দেওয়া দরকার। না হলে এর কোনও মূল্য থাকবে না।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে এদিন ৫৫টি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। তার মধ্যে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ এই গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব। সেই ১৯৮০ সাল থেকেই পাহাড়ে উঠছে গোর্খাল্যান্ডের ডাক। আন্দোলনও হয়েছে একের পর এক। ২০১৪ সালে মোর্চার আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে যায় পাহাড়। সেইসময় ১০৪ দিনের বনধ দেখেছিল পাহাড়। এদিকে এবার জিটিএ নির্বাচনে বিজিপিএম(BGPM) এই গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে ইস্যু করে প্রচারে নেমেছিল। আর তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। পাহাড়বাসীর আবেগে শেষ পর্যন্ত জিতে যায় অনীত থাপার দল।