২৩শে জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিবস। গোটা দেশ জুড়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে। এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে দুবার এসেছিলেন নেতাজি। প্রথমবার এসেছিলেন ১৯২৮ সালে। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে নেমেছিলেন। আর দ্বিতীয়বার এসেছিলেন ১৯৩৯ সালে। সংগ্রাম তখন একেবারে তুঙ্গে। সেই পরিস্থিতিতে তিনি জলপাইগুড়ি শহরের বুকে দাঁড়িয়ে ডাক দিয়েছিলেন ইংরেজ ভারত ছাড়ো।
এই জলপাইগুড়িতেই ১৯৫১ সালে প্রথম তৈরি হয়েছিল নেতাজির মর্মর মূর্তি। দাবি করা হয় যে দেশের মধ্য়ে প্রথম জলপাইগুড়িতেই নেতাজির মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর ধারে ১৯৫১ সালে নেতাজির ৫৪তম জন্মদিনে নেতাজির মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এবার উত্তর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ এই মূর্তি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক গোবিন্দ রায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের এই উদ্যোগ অত্যন্ত খুশি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। দেশ নায়ককে যাতে আরও বেশি করে মানুষ জানতে পারেন। তাঁর প্রথম মূর্তিটিকে সংরক্ষণ করে আরও বেশি মানুষকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
১৯৫১ সালের ২৩শে জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মুর্তির আবরণ উন্মোচন করেছিলেন বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল। জলপাইগুড়ি নেতাজি ফাউন্ডেশনের দাবি, এটা দেশের প্রথম নেতাজি মূর্তি। আপাতত নেতাজি ফাউন্ডেশন ভবনে রয়েছে এই মূর্তি। আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের চিতাভষ্ম রাখার জায়গাও রয়েছে। সেই জায়গা সবাই যাতে দেখতে পান তার উদ্যোগ নেওয়া হবে এবার।
সূত্রের খবর, স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র লাহিড়ী সেই সময় শহরে নেতাজির মূর্তি বসানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সামরিক পোশাকে সজ্জিত নেতাজি। তেমন ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই মূর্তি।
নেতাজি ফাউন্ডেশনের তরফে এই মূর্তি সংরক্ষণের জন্য় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে আবেদন করা হয়েছিল। এরপর এনিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে দফতর। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই উদ্যোগ।
এই মূর্তি সংরক্ষণ করা হলে এবার জলপাইগুড়িতে যাঁরা বেড়াতে যান তাঁরা সহজেই একবার শ্রদ্ধা জানিয়ে আসতে পারবেন নেতাজির এই মূর্তিতে। এই জলপাইগুড়ির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নেতাজির স্মৃতি। সেই জলপাইগুড়িতেই নেতাজির প্রথম মর্মর মূর্তি রয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।