পারিবারিক অশান্তি জেরে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন স্বামী। কিন্তু, বিবাহবিচ্ছেদ না করেও স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে নিয়েছিলেন। এখন প্রথম পক্ষের স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাইছেন। তাই নিজের অধিকার আদায়ের দাবিতে পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন গৃহবধূ। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার শ্রীহট্ট গ্ৰামের। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়ঞা থানার পুলিশ।
পারিবারিক এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই থানা এলাকার শ্রীহট্ট গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখের সঙ্গে খড়গ্রামের বাসিন্দা মায়া খাতুনের বিয়ে বিয়ে হয়েছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু, তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক মধুর হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে মতবিরোধ, ঝগড়াঝাটি এবং দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। ক্রমে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক শিথিল হয়ে যায়। এরপরে ইব্রাহিম বছর দুয়েক আগে মায়াকে তার বাপের বাড়িতে রেখে আসে। অভিযোগ, তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে করে নেয় ইব্রাহিম। সেই খবর পেয়ে গতকাল শ্বশুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন মায়া।
মায়ার অভিযোগ, ‘দাম্পত্য জীবনে অশান্তির জেরে আমার স্বামী দু'বছর আগে আমাকে বাপের বাড়ি রেখে এসেছিল। আমি আশায় ছিলাম যে পারিবারিক অশান্তি মিটে যাবে এবং তারপর আমাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাবে স্বামী। কিন্তু, স্বামী আর আমাকে চায় না। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু, আমি স্বামীর ভাত খেতে চাই। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মাথা পেতে নেব।’ অন্যদিকে, ইব্রাহিমের পরিবারের অভিযোগ, ওই বধুর চরিত্র মোটেই ভালো নয়। সেই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত।