দু-মাস সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দীঘার মোহনায় মৎসজীবীদের জালে ধরা পড়ছে না মাছ। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় রূপোলি শস্য অর্থাৎ ইলিশ যে দীঘায় আগত পর্যটকদের পাতে খুব সহজেই উঠবে, তার উপায় নেই। ফলে বিকল্প হিসাবে পমফ্রেট, চিংড়ি, কাঁকড়া, ভেটকিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের।
জানা যায়, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন এই দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাছের প্রজননকাল জন্য ও ছোট মাছ যাতে ধরা না হয়, সেজন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দীঘার এক মাছ বিক্রেতাদের মতে, এখন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে। দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে মাছ আসছে। কলকাতা থেকে চিংড়ি, ভেটকি আমদানি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মাছ বিক্রেতা জানান, ‘এই সময় ইলিশ পাওয়া গেলেও ইলিশের দাম খুব বেশি থাকে। বড় ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। সেখানে কাঁকড়া কেজি প্রতি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।’ তিনি জানান, মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কমলেই মাছের দাম কমে যাবে।
প্রতি বছরই দীঘায় এই সময় প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। পর্যটকদের মধ্যে বাঙালিদের সংখ্যাই স্বাভাবিকভাবেই বেশি। কিন্তু হোটেলগুলির পক্ষে বাঙালিদের পাতে ইলিশ পৌঁছে দেওয়া সহজ হচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও জোগান তেমন নেই। ফলে বিকল্প হিসাবে কাঁকড়া, চিংড়ি খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে দীঘার মোহনা থেকে প্রচুর ইলিশ উঠবে বলেই আশা মৎসজীবীদের। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য ৩৬১৬টি লঞ্চ ট্রলার ও ভুডভুডি রয়েছে। প্রচুর মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে এর ওপর। ফলে কবে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।