বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বাংলাদেশে ১৭ বছর বন্দি, বারুইপুরে আরও ৫, অবশেষে মুক্তি পেলেন ‘নির্দোষ’ মৎস্যজীবী

বাংলাদেশে ১৭ বছর বন্দি, বারুইপুরে আরও ৫, অবশেষে মুক্তি পেলেন ‘নির্দোষ’ মৎস্যজীবী

জেল থেকে মুক্তি পেলেন মৎস্যজীবী। প্রতীকী ছবি

যখন চিত্ত গায়েনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৬ বছর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৯ বছর। এখন মুক্তি পেয়ে অন্য কিছু করার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন চিত্ত গায়েন। তিনি বলেন, ‘কোনওভাবে পেট চালানোর মত কিছু একটা কাজ করব। তা নিয়ে এখন ভাবনা চিন্তা করছি। দেখি কী করা যায়।’

বিনা অপরাধে তাঁকে বাংলাদেশের জেল খাটতে হয়েছে ১৭ টা বছর। বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস করলেও মেলেনি মুক্তি। আইনি জটিলতায় পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর জেলেও তাঁকে কাটাতে হয়েছে আরও পাঁচটি বছর। অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুমিরমারির বাসিন্দা তথা মৎস্যজীবী চিত্ত গায়েন। কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এতগুলো বছর পর মুক্তি পেয়ে খুশি ওই মৎস্যজীবী। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।

সম্প্রতি তাঁর মুক্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আদালত বান্ধব তাপসকুমার ভঞ্জ। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে চিত্ত সত্যি সত্যি কি নির্দোষ, সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ডেপুটি হাইকমিশনের কাছে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবে ডিভিশন বেঞ্চ। অবশেষে বাংলাদেশের থেকে সেই তথ্য পেয়ে চিত্তকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

চিত্ত জানান, একদা মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশের বাহিনী। সালটা ছিল ১৯৯৯। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি ছিল, তাঁর কাছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছিল। এরপরে চিত্তের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অস্ত্র আইন-সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু হয়। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের নিম্ন আদালত সেই মামলায় চিত্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় চিত্তের পরিবার। সেখানেও ধীরগতিতে চলে মামলা। অবশেষে ২০১৯ সালে পদ্মাপারে আইনি লড়াই শেষ হয়। তাঁকে বেকসুর খালাস করে মুক্তি দিয়েছিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। তবে ওদেশের আদালত তাঁকে মুক্তি দিলেও আইনি জটিলতায় দেশে ফিরেও তাঁকে বন্দি থাকতে হয় বারুইপুর সংশোধনাগারে।

যখন চিত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৬ বছর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৯ বছর। এখন মুক্তি পেয়ে অন্য কিছু করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন চিত্ত। তিনি বলেন, ‘কোনওভাবে পেট চালানোর মত কিছু একটা কাজ করব। তা নিয়ে এখন ভাবনাচিন্তা করছি। দেখি কী করা যায়। এত বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন