ফের বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হলেন এক মৎস্যজীবী। বেনিফলির জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ওই মৎস্যজীবীর উপর হামলা চালায় ডোরাকাটা। মৎস্যজীবীর নাম শঙ্কর সরদার। তিনি কুলতলির দেউলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৎস্যজীবী। অন্যান্য মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় তিনি প্রাণে বেঁচেছেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুক্রবার অন্যান্য মৎস্যজীবী সঙ্গীদের সঙ্গে জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। এর আগেও তারা বহুবার ওই জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ছিলেন। সেই সময় বাঘ ওতপেতে শিকারের জন্য যে বসে ছিল তা কোনওভাবেই তাদের নজরে আসেনি। কাঁকড়া ধরার সময় আচমকা একটি বাঘ শঙ্করের মাথা এবং পিঠে থাবা বসিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার চিৎকার শুনে অন্যান্য মৎস্যজীবীরা লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসে। তাদের দেখে বাঘটি শঙ্করকে ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা হয় পরে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার হাসপাতালে। বাঘের হামলায় মৎস্যজীবীর মাথায় ও পিঠে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, বাঘের হামলা এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সে ক্ষেত্রে অনেক মৎস্যজীবীর মৃত্যুও হয়েছে। গভীর জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা গভীর জঙ্গলে ভিতরে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বনদফতর। তাদের দাবি, সেই কারণেই বারবার এই ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, কাঁকড়া বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। তাই গভীর জঙ্গলে না যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।