১১ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে আবার শুরু হল ইলিশ ধরা। কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, সাগর ও পাথরপ্রতিমা থেকে শয়ে শয়ে ট্রলার একসঙ্গে পাড়ি দিল বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে। লক্ষ্য একটাই, আশানুরূপ ইলিশের সন্ধান। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন সময়কে সুরক্ষিত রাখতে গত ২ অক্টোবর থেকে মৎস্য দপ্তর সাময়িকভাবে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছিল। রবিবার মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলতেই মৎস্যজীবীরা অভিযান শুরু করেন।
আরও পড়ুন: আর আবেদন-নিবেদন নয়, সমুদ্র সাথীর টাকা না পেয়ে মাইকে প্রচার শুরু জেলে পাড়ায়!
নিষেধাজ্ঞার ফলে গত কয়েকদিন বাজারে সামুদ্রিক মাছের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। মৎস্যজীবীরা জানেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল শুধু বাজার নয়, হাজারো পরিবারের রুটি-রুজির চাকা আবার ঘুরতে শুরু করবে। পুনরায় সমুদ্রে ফেরার প্রস্তুতি নিতে নিতে তাদের চোখে তাই ছিল উদ্বেগের সঙ্গে প্রত্যাশার মিশ্র ছবি। প্রতি বছরই মৎস্য দফতর প্রজননকালীন সময়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে ধরার উপর ৬১ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ইলিশের যোগান কম থাকায় মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি দাবি তুলেছিল অতিরিক্ত সুরক্ষা-বিধি নিয়ে। সেই কারণেই সম্প্রতি আলাদা করে ১১ দিনের এই বিশেষ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা এবং বোট বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ ছিল।
মরশুমের শুরুতে ইলিশের সাইজ ও পরিমাণ ভালো মিললেও পরের দিকে যোগান কম ছিল। ট্রলার মালিক ও মাঝিদের কেউ কেউ বারবার ফাঁকা হাতে ফিরেছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক বিজন মাইতির ভাষায়, স্বল্পকালের কষ্ট মেনে নেওয়া হয়েছে। ইলিশের সংরক্ষণ ছাড়া অন্য রাস্তা নেই। এবার সমুদ্রমুখী হচ্ছে ট্রলার।