কয়েক দশক আগে এমন সময় ক্রেতাবিক্রেতার হাঁকাহাঁকিতে সরগরম থাকত নদীর পাড়। বর্ষায় ইলিশ বিক্রি করে সংবৎসর সংসার চালাতেন মৎস্যজীবীরা। সেসব এখন রূপকথার মতো শোনায় কোলাঘাটে রূপনারায়ণের পাড়ে। জালে আর ওঠে না মাছ। পরিস্থিতি এতই জটিল যে পেশা বদলের কথা ভাবছেন অনেক মৎস্যজীবী।
কোলাঘাটের ইলিশের স্বাদ-গন্ধ বাঙালিদের মধ্যে বহুলপ্রশংসিত। এক কালে তার টানেই বর্ষায় রূপনারায়ণের পাড়ে বসত হাট। নৌকা করে ইলিশ ধরে এনে বিক্রি করতেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু কালক্রমে কমেছে ইলিশের পরিমাণ। আর তার জেরে ধুঁকছে মৎস্যজীবী পরিবারগুলি।
রূপনারায়ণের পাড়ের জেলেদের দাবি, নদীতে দূষণ বাড়ায় ও নাব্যতা কমায় কমেছে ইলিশের সংখ্যা। সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিভিসির জল ছাড়ার প্রভাব। যার জেরে কোলাঘাট পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না সমুদ্রের নোনা জল। অনেকের মতে যন্ত্রচালিত নৌকার দাপাদাপিতেও রূপনারায়ণ-বিমুখ হয়েছে ইলিশের দল।
কারণ যাই হোক পরিস্থিতি জটিল। ডিজেলের দাম লিটারে ১০০ ছুঁইছুঁই। ওদিকে দিনে মাছ উঠছে ২ – ৫ কেজি। মজুরি দিয়ে মৎস্যজীবীদের হাতে থাকছে না কিছুই। অনেকেই বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে অন্য পেশায় মন দিতে হবে তাঁদের। বেঁচে থাকতে আশ ছাড়তে হবে ইলিশের ওপর থেকে।