বিরল প্রজাতির মাছ বা সামুদ্রিক প্রাণী নয়, মৎস্যজীবীদের জলের উঠে এল জীবন্ত একটি বুনো শুয়োর। বুধবার দীঘার মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল বুনো শুয়োর। দীঘার মোহনা থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে মৎস্যজীবীরা ওই বুনো শুয়োরকে উদ্ধার করেছেন। এরপরেই ওই বুনো শুয়োরকে বনদফতরের হাতে তুলে দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। আপাতত ওই বুনো শুয়োর সুস্থ রয়েছে বলেই জানিয়েছে বনদফতর।
‘সর্বমঙ্গলা’ নামের একটি ট্রলারে করে সমুদ্রে মাছ ধরে মৎসজীবীরা ফিরছিলেন। সেই সময় তারা জীবন্ত একটি প্রাণীকে সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে দেখেন। কাছে গিয়ে তারা বুঝতে পারেন আসলে ওই ওই প্রাণীটি হল একটি বুনো শুয়োর। মৎস্যজীবীরা জাল ফেলে সমুদ্র থেকে তাকে টেনে ট্রলারে তোলেন। দীঘার বনদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর বুনো শুয়োরটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে মাঝ সমুদ্রে কিভাবে পৌঁছাল এই বন্য শুকর? বনদফতরের অনুমান, কোনও শিকারী প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিল ওই শুয়োর। তারপরে সেটি ঢেউয়ে মাঝ সমুদ্রে পৌঁছে গিয়েছিল।
মৎস্যজীবীদের বন্যশূকর উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে তা দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা।মাঝেমধ্যেই দীঘার সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে আকর্ষণীয় প্রাণী। মাসখানেক আগেই দীঘার সমুদ্রে জালে ধরা পড়েছিল ৩৩টি তেলিয়া-ভোলা মাছ। যার দাম উঠেছিল ৫৫ লাখ পর্যন্ত। এছাড়াও, বিশালাকার তিমি, বড় আকৃতির মাছ কিংবা ডলফিন, দিঘার সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এসেছে ।