লকডাউনের মধ্যেই চলছিল ভেজাল তেলের কারখানা। এবার সেই কারখানাতেই আচমকা অভিযান দিলেন চাঁচলের মহকুমা শাসক। আটক করা হয়েছে কারখানার ৫ জন কর্মী। তবে কারখানার মালিককে এখনও ধরা যায়নি। উদ্ধার করা হয়েছে নামী কোম্পানির স্টিকার, রং ও ঝাঁঝালো কেমিক্যাল।
গত রবিবার লকডাউন কতটা কার্যকর করা হচ্ছে, তা দেখতে বের হন চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল। ঠিক তখনই তাঁর নজরে আসে সরষের তেলের কারখানাটি। অভিযান চালানো মহকুমা শাসক দেখতে পান, কারখানার ভিতর সস্তার তেলকে নামী দামী কোম্পানির স্টিকার সেঁটে বাজারে নিয়ে আসার কাজ চলছিল।এরপরই মহকুমাশাসকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।পুলিশ এসে কারখানার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে।গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সস্তা ও নিম্নমানের তেল এনে রঙ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে ফের নামী কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছিল।তিন বছর আগে ওই কারখানায় অভিযান চালায় মহকুমা প্রশাসন।ভেজাল তেল তৈরির অভিযোগে কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।পরে ফের চালু করা হয় ওই কারখানা।ভেজাল তেলের কারখানার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল জানান,‘আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে, যে পদ্ধতিতে এই তেল তৈরি করা হচ্ছিল, তা সঠিক পদ্ধতি মেনে হচ্ছিল না। কারখানা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করা হবে।আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’